ফসল চাষের পূর্বে সঠিক জমি নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। চাষাবাদ রেজিস্ট্রেশনকারী কৃষককে তাই শুরুতেই জানিয়ে দেয়া হবে তাঁর নির্বাচিত ফসলের জন্য কি ধরনের জমি ব্যবহার করা উচিত। এর পর পরই থাকছে সে যে ফসল ফলাতে চায় সেজন্য কিভাবে জমি তৈরি করা প্রয়োজন। ভিতরে থাকছে বেড তৈরির বিস্তারিত দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা, সেচের নালা তৈরির বিস্তারিত ও প্রয়োজনীয় আরো নির্দেশনা
সঠিকভাবে বীজের যত্ন নেয়া নিশ্চিত করে বেশি অঙ্কুরোদ্গম ও বেশি ফলন। সাজেশনে থাকছে কিভাবে কৃষকের চাষ করতে চাওয়া ফসলের বীজকে ভাল রাখতে হয়, কিভাবে বীজতলা নির্মান করলে বেশি অঙ্কুরোদ্গম হয় এবং কিভাবে বীজ বপন করলে পাওয়া যায় বেশি চারা। এছাড়াও ফলন পরবর্তী বীজ সংরক্ষণের বৈজ্ঞানিক উপায়ও বলা থাকবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে বীজের চেয়ে চারা রোপন বেশি উপকারী ও কম খরচের। সেক্ষেত্রে থাকছে কিভাবে চারা সংগ্রহ, পরিবহন ও রোপন করতে হয়। থাকছে ফসলের চারার যত্নের বিস্তারিত পদ্ধতি। চারার যত্নে ছায়া, আলো, আবহাওয়া, পানি ও রোগের বিষয়ে সতর্কতা। আধুনিক চাষাবাদে চারার যত্নের গুরত্ব অনেক। তাই সাজেশনেও থাকছে এই গুরুত্বের প্রতিফলন।
ফসল চাষের প্রতি অংশেই আছে সেচের প্রয়োজন। কিন্তু ফসলের বয়স, আবহাওয়া ও মাটির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে দরকার পরিমিত ও নিয়মিত সেচ। সাজেশনে তাই থাকছে, কিভাবে কোন সময়ে কতটুকু সেচ দেয়া উচিত। থাকছে গভীর নলকূপের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে কিভাবে পানির বিকল্প উৎস যেমন কুয়া ও বৃষ্টির পানির ব্যবহার বাড়ানো যায় সেই বিষয়ক পরামর্শ।
চারার বেড়ে উঠা ও ফলন বৃদ্ধির সাথে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করা দরকার। কিভাবে কোন আগাছা ভালভাবে দূর করা যায়, কম কীটনাশক কিংবা কীটনাশক ছাড়াই কিভাবে আগাছা কমানো যায়, থাকছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ। এছাড়াও বেড়া ও মাচা তৈরির জন্য প্রয়োজন যথাযথ নির্দেশনা। ফসলের মাঠ ও ফসলের হাট সফটওয়্যার থেকে সাজেশনের মধ্যে থাকছে এই বিষয়গুলোও।
ফসলের বীজ, চারা ও গাছের বিভিন্ন বয়সে ছায়া ও রোদের বিপুল পরিমাণ প্রভাব আছে। চাষির প্রয়োজনীয় ফসলের জন্য এই ছায়া ও রোদের বৈজ্ঞানিক ব্যবহারের সঠিক নিয়মাবলী ও অন্যান্য বিষয়াদির পরামর্শ দেয়া হবে।
প্রতিটি ফসলই একটি জীবিত সত্ত্বা। এদের জীবনের পুরোটা নিয়েই তাই চলছে গবেষণা যুগের পর যুগ। প্রতিটি ফসলেরই আছে জীবন শত্রু এবং এদের আক্রমণের সময়। ধাপে ধাপে এস এম এসে মাধ্যমে চাষিদের জানিয়ে দেয়া হবে কোন সময়ে তাঁর ফসলের কি ধরনের রোগ কিংবা বালাই হতে পারে। কি ধরনের লক্ষণ দেখে সেটি জানা যাবে এবং রোগ হলে কি করতে হবে। এছাড়াও, রোগ হওয়ার আগে কি ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, থাকছে সেটিরও পরামর্শ।
প্রতিটি ফসলেরই পুষ্টির প্রয়োজন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাটির স্বাভাবিক পুষ্টি দিয়ে উচ্চ ফলন করা অত্যন্ত দুরূহ। ফসলের জীবনের কোন ধাপে কি পরিমাণ সার কিভাবে দিতে হবে তা নিয়েই প্রচুর বৈজ্ঞানিক পন্থা আবিষ্কার হয়েছে। প্রতিটি ফসলের জীবনচক্রে ধাপে ধাপে এস এম এসের মাধ্যমে চাষিদের জানিয়ে দেয়া হবে কোন সময়ে তাঁর ফসলের কি ধরনের সার প্রয়োজন। কি ধরনের সার কি পরিমানে কিভাবে দিতে হবে, দেয়া হবে তাঁর বিস্তারিত পরামর্শ। এছাড়াও সার প্রয়োগে কি ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, থাকছে সেটিরও পরামর্শ।
ফসলের রক্ষার্থে চাষির প্রয়োজন কীটনাশক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে উচ্চ ফলনের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ফসলের জীবনের কোন ধাপে কি ধরনের কীট ফসলের ক্ষতি করতে পারে এবং সে অনুযায়ী রাসায়নিক কীটনাশক বাদে কিভাবে সেটি দূর করা যেতে পারে, থাকছে সে বিষয়ে পরামর্শ। এর সাথে সাথে রাসায়নিক কীটনাশক কি পরিমাণে, কখন ও কিভাবে দিতে দিতে হবে তার বিস্তারিত পরামর্শ। এছাড়াও কীটনাশক প্রয়োগে কি ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, থাকছে সেটিরও পরামর্শ।
ফসলের জীবনচক্রে আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রচন্ড প্রভাব রয়েছে। রোদ, বৃষ্টি, কুয়াশা ও অন্যান্য সময়ে ফসলের যত্ন ও সুরক্ষা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। চাষিদের এই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ ও করণীয় জানিয়ে দেয়া হবে। যে সব মৌসুমে যে সব ফসল হয়, সে সমস্ত মৌসুমেই সময়মত সে সকল ফসল চাষিরা এই তথ্য পেয়ে যাবেন সরাসরি নিজের মোবাইলে।
ফসল বেশি দামে বিক্রয় করতে কে না চায়। আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা চান কম মূল্যে ফসল ক্রয় করতে। এভার উভয় পক্ষের সুবিধার জন্য রয়েছে অনলাইন হাট। ফসল চাষ রেজিস্ট্রেশনকারী কৃষকদের সম্ভাব্য ফলন ও অন্যান্য তথ্য সরাসরি চলে যাবে এই হাটে এবং যে কেউ তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে ফসল মাঠে থাকতেই আগাম কিনে নিতে পারবেন। আর হবে না অতিমাত্রায় যোগান ও নিশ্চিত হবে ন্যায্যমূল্য।
ফসল ফলানোর যেমন রয়েছে বৈজ্ঞানিক পন্থা, তেমন রয়েছে ফসল আহরণ-পরিবহণ-সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণেরও বৈজ্ঞানিক পন্থা! এবার চাষিদের কাছে পৌঁছে যাবে সে খবর। আরো বেশি সময় ধরে ভাল থাকবে ফসল, কমবে পরিবহনের সময় ক্ষতির মাত্রা, সংরক্ষণে রাসায়নিকের ব্যবহার হবে সীমিত ও মানসম্মত। বাজারজাত হবে পূর্ণ মানের ফসল!
কিছু সাধারণ পন্থা অবলম্বন করে ধরে রাখা যায় কৃষি জমির উর্বরতা। এই প্রকল্পের সাজেশনে থাকছে সেটির পূর্ণ উপস্থিতি। বাংলাদেশের কৃষিজীবীদের প্রাণের কৃষিভূমির মাটির উর্বরতা ধরে রাখতে কোন বাধাই আর বাঁধা নয়। কৃষক যে ফসল ফলালেন, তাঁর পরে কি করলে এই মাটির উর্বরতা দ্রুত ফিরে আসবে, সাজেশনে থাকছে সেটির বিস্তারিত পরামর্শ।
বৈজ্ঞানিক গবেসণার অন্যতম মাইলফলক হলো কৃষি ক্যালেন্ডার। মানে, একটি জমিতে দেশ ও জলবায়ু অনুযায়ী কোন ফসলের পর কোন ফসল চাষ করলে সেই ফসলের চাষে সার-কীটনাশক ইত্যাদি কম ব্যবহার করেও উচ্চফলন পাওয়া যায় সেটির পরামর্শ। এতে কমে যাবে ফসল ঝুঁকি, কমবে চাষাবাদ খরচ, বাড়বে ফলন ও আয়।